ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

২০২৪ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং বোঝে না এমন ব্যক্তি পাওয়া দুষ্কর। ছোট থেকে বড় সবাই এই শব্দটির সাথে পরিচিত। অনলাইনে যতগুলো আয় করার উৎস বিদ্যমান তাদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রচার এবং প্রসারের কারণে বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা। সাধারণ চাকরি আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হলো ডিউটি করার সময়। অর্থাৎ কোন চাকরি করতে গেলে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হয়। এই পেশায় সচরাচর কোন টাইম লিমিট থাকে না। সেখানে নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা থাকে।

এই শব্দটিকে আরও সহজভাবে বর্ণনা করতে অনলাইন ইনকাম টার্ম ব্যবহার করা হয়। সাধারণত অনলাইনে যে যে কাজ পাওয়া যায় সেগুলো করে দিয়ে যে অর্থ পাওয়া যায় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে না কাজ করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করা কে অনলাইনে আয় করা বলে। ফ্রিল্যান্সিং ধারণাটি প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে প্রচলিত আছে। প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশের মাধ্যমে এই শব্দটি একটি আলাদা আত্মমর্যাদা পেয়েছে। যাইহোক, ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে আমাদের সবার কৌতূহল আছে কারণ মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে নিউজ কভার করছে।

এতে সমাজে একটি পজিটিভ পরিবেশ বিরাজ করছে। চুক্তিভিত্তিক কাজ করার কারণে একমাত্র এই পেশায় নিজের বস নিজেই হওয়া যায়। অনলাইন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। মোটকথা, ফ্রিল্যান্সিং পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায় যা দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি?

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি পেশা যাকে অনলাইন ইনকাম হিসেবেও অনেকে চেনে। তো যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। আজকাল ফেসবুক এবং ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার শব্দটি আমাদার সবার কাছেই সুপরিচিত। দুনিয়া ধীরে ধীরে অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। দেশে বা বিদেশে আজকাল প্রশাসনিক বা বাণিজ্যিক কাজ গুলো অনলাইনে কনভার্ট হচ্ছে। এতে যেমন কাজের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি সময় বাঁচানো যাচ্ছে। অনলাইনে যে সকল কাজ পাওয়া যায় সেগুলো গতানুগতিক কাজ থেকে একটু ভিন্ন।

এই কারণে সেগুলো করতে হলে আমাদের নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। বর্তমানে অনলাইনে পাওয়া যায় এমন কাজের মধ্যে ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং, মার্কেটিং ইত্যাদি অন্যতম। একজন সাধারণ ফ্রিল্যান্সারের কাজ শেখা থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া ও ডেলিভারি দিয়ে পেমেন্ট রিসিভ করার যে প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় সেটাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ৯ টি কাজ

ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। এই খাতে প্রচুর কাজ থাকায় দিন দিন এর পরিধি বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও। তবে নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন তাদের অনেকেই কিভাবে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করবেন সেটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। ফলে না জেনেই কোনো একটি কাজ শুরু করে শেষে হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং থেকে দূরে সরে যান।

মূলত ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজ যেখানে কোনও ব্যক্তি নিজের কাজ করতে অন্যদের বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে কোনও নির্দিষ্ট প্রকল্পে যোগদান করে এবং নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে তারা সেবা প্রদান করে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, কাজের পরিমাণ ও সময় নির্ধারণ করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি

ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর একটি হলো ডাটা এন্ট্রি। এই কাজটি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের তুলনায় একটু সহজ হওয়ায় নতুন ফ্রিল্যান্সারের পছন্দের তালিকায় এটি প্রথম। তবে ডাটা এন্ট্রির কাজ সহজ হলেও এই কাজেও কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। বিভিন্ন টুলের ব্যবহার জানা ছাড়াও টাইপিং স্পিডে ভালো হতে হবে। মাইক্রোসফট এক্সেল, ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারে দক্ষতার প্রয়োজন।

মূলত যারা সামান্য দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রির কাজ ভালো হবে। তবে এই সেক্টরে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক বেশি। ফলে নতুনদের জন্য প্রথমদিকে কাজ পাওয়াটা একটু কঠিন।

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম। অনলাইনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বা বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বা অফলাইন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটার দিয়ে অনলাইনে নিজেদের প্রচারণার কাজ করে থাকে, যার ফলে দিনের পর দিন এই কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

তবে ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে শুধু একটি কাজকে বুঝায় না। এটি অনেক বড় একটি সেক্টর। আর এই সেক্টরে আবার অনেকগুলো ক্যাটাগরি বা কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যেকোনো একটি কাজের উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যেকোনো এক বা একাধিক কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করে চোখ বন্ধ করেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয় কিছু কাজ হলো- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ভিডিও, ইমেইল বা কন্টেন্ট মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ইত্যাদি।

ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট

প্রোগ্রামিং সেক্টরের একটি অংশ হলেও ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি বড় অংশ দখল করে আছে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের অন্যতম এবং সেরা একটি কাজ হল ওয়েবসাইট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।

অনলাইনে যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার কারণে প্রতিনিয়ত প্রচুর নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এতে ওয়েবসাইট তৈরি ও ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদাও অন্য সব কাজের চেয়ে একটু বেশি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদা ও কাজের রেট অনেক বেশি, তাই অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরটি বেছে নিচ্ছেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক ডিজাইন বর্তমানে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বিস্তৃত সেক্টর। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি করে ভালো বেতন পেতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত করতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে যেমন- freelancer.com, fiverr, Upwork ইত্যাদিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এসব মার্কেটেপ্লেসে কাজ করে প্রচুর টাকা আয় করার মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় প্রতিটি কোম্পানি বা বিজনেসের জন্য লোগো ডিজাইন ও ব্র্যান্ড এর বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যানার ডিজাইনসহ অন্য যেকোনো কারণে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই দক্ষ এবং অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। এখানে কাজের আলাদা আলাদা অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। আর প্রতিটা কাজের মার্কেট ডিমান্ডের উপর ভিত্তি করে আয়ের পরিমাণও ভিন্ন হয়ে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু কাজ হলো- লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, বিজ্ঞাপন ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার ডিজাইন, ভেক্টর আর্ট, ইলাস্ট্রেটর, ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

বর্তমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সারা বিশ্বে এমন অনেক ব্যক্তি বা সংস্থা রয়েছে যাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় বা জ্ঞান থাকেনা।

তাই তারা অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে পেইড মার্কেটিং বা ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট, নিয়মিত পোস্টিং, কনটেন্ট রাইটিংসহ বেশ কিছু কাজ করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এক্সপার্টদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যাদের ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার দক্ষতা রয়েছে, পাশাপাশি মাল্টি-টাস্কিংয়ের মানসিকতা রয়েছে তারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য এই সেক্টরটি বেছে নিতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা সাধারণত প্রতি ঘন্টায় ২০-২৫ ডলার বা তার বেশি চার্জ নিয়ে থাকেন।

কন্টেন্ট রাইটিং

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলোর মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রচুর চাহিদা থাকায় যারা লিখতে পছন্দ করেন বা যাদের এই বিষয়ে ভালো দক্ষতা আছে তারা লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস প্রদান করে সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তবে সারা বিশ্বে ইংরেজি কন্টেন্টের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় বেশি আয় করতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। তাছাড়া কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরে বিভিন্ন ক্যাটাগরি বা কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। এগুলো হলো- ওয়েবসাইট কন্টেন্ট রাইটিং, আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট রাইটিং, ক্রিয়েটিভ বা কপিরাইটিং ইত্যাদি। এসবের যেকোনো একটি ক্যাটাগরির কাজ বেছে নিয়ে সহজেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

ট্রান্সক্রিপশন

যারা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। নতুন করে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তারা ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ইংরেজি, আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

Virtual Assistance

ফ্রিল্যান্সিং কাজ এ যাদের আগ্রহ বেশি কিন্তু অভিজ্ঞতা নেই তাদের জন্যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স একটি উপযোগী কাজ। এই কাজের জন্যে আপনার হাতে থাকতে হবে প্রচুর খালি সময়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স হিসাবে প্রধান কাজ হলো ব্যবসা, উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তিদের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা। অনেক বড় বা ছোট ব্যবসা গুলোর মালিকেরা ব্যস্ত থাকেন আর এই কারণে তারা খুঁজে নেন “ভার্চুয়াল ব্যবসাগুলোর -দের“। এক্ষেত্রে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্ট এর হয়ে কিছু সাধারণ কাজ গুলো করতে হৰে। যেমন, ব্যবসাগুলোর এর রিপ্লাই দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ম্যানেজ করা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত করা , চ্যাট, বা ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া ইত্যাদি।মানে মূলত আপনাকে নিজের ক্লায়েন্ট এর বেশিরভাগ কাজ গুলো করে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রি করে দিতে হবে।

Basic Video Editing

বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট এর জনপ্রিয়তার সাথে, ভিডিও এডিটরদের চাহিদা রয়েছে। আপনি YouTubers, ব্যবসা, বা বিষয়বস্তু নির্মাতাদের জন্য ভিডিও এডিট এবং উন্নত করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যারে দক্ষতা অপরিহার্য। সেটা হতে পারে অন্যের ভিডিও এডিট আবার নিজের ভিডিও এডিট করেও সেই ভিডিও মার্কেটিং করার ফলে আয় করতে পারবেন।নিজের জন্য ভিডিও এডিট করতে হলেও আপনাকে ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এর এটা আপনাকে ইনকাম করতে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।